আফজাল:একটি বানর ৯২ ফুট উচু একটা তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে উপরে উঠতে লাগল। বানরটি প্রথম মিনিটে ১২ ফুট ওঠে, কিন্তু দ্বিতীয় মিনিটে ৮ ফুট নেমে যায়। বাঁশের মাথায় উঠতে বানরটির কত মিনিট সময় লাগে? ইতালীর অবস্তা হয়েছে ওই বানরের মতো, দুইদিন একটু কমলেও তৃতীয় দিন এসে সংক্রমিত ও মৃতের সংখ্যা আবার বেড়ে গেছে।
ইতালীতে আজকে মৃত্যু হয়েছে ৬১৯ জনের,নতুন করে আক্রান্ত ৪,৬৯৪ জন।সুস্থ হয়েছেন মোট ৩২,৫৩৪ জন।গুরুতর অসুস্থ আছেন ৩,৩৮১ জন ।চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১০০,২৬৯ জন।মোট মৃত্যু হয়েছে ১৯,৪৬৮ জন।সর্বমোট ইতালীতে আক্রান্ত ১,৫২,২৭১ জন।
ইতালীতে লকডাউনের মেয়াদ ৩রা মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। প্রেসিডন্ট জোসেফ কনতে বলছেন এখন লকডাউন শিতিল করলে সংক্রমন ও মৃতের সংখ্যা কমার যে ইতিবাচক ফলাফল অর্জিত হয়েছে তা হুমকির মুখে পড়বে ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাবে।জানিনা, আরো কতদিন এভাবে মানুষকে ঘরে আটকে রাখা যাবে?
খবরে প্রকাশ লকডাউন হওয়া ও বাংলাদেশের করোনা সংক্রমনের এপিসেনটারে পরিণত হওয়া নারায়নগনজ্ঞ থেকে কিছু মানুষ পালিয়ে অন্যত্র যাচ্ছেন।পালিয়ে তারা আসলে কোথায় যাচ্ছেন ? কোন জায়গাটাকে নিরাপদ ভাবছেন? সাবধানতা অবলম্বন করে ঘরে থাকলেই কি ভাল হতো না?
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘন্টায় আরো ১৩৯ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে, মারা গেছেন আরো ৪ জন। দেশের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পালিয়ে বেড়ানো মানুষরাই এখন বড়ো হুমকি ! লকডাউন স্ট্রিকটলি না মানলে শুধু মূল্যবান সময় আর আর্থিক ক্ষতিই হবে আখেরে কোন লাভ হবেনা।এটা এমন একটি বিষয় যে কিছু মানুষ মেনে চললো আর কিছু মানুষ যদি মেনে না চলে তবে সামগ্রীক পরিস্তিতি উন্নত হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই।
আপামর জনগনের বিবেক ও বিবেচনা জাগ্রত না হলে প্রশাসনের পক্ষে এসব মেনেজ করা সম্ভব হবেনা,এখনই এসব বন্ধ না করলে কপালে খারাপি আছে।
তারপরও, আশাবাদী সব ঠিক হয়ে যাবে।এখন আর সচেতনতার কথা বলার সময় নেই! নিয়মের কোন হেরফের হলে তা কঠোরহস্তে দমন করতে হবে। কিছু কান্ডজ্ঞানহীন মানুষের জন্য সবাই বিপদগ্রস্ত হবে এটা মেনে নেয়া যায়না, তবে পেটের দায়ে যেন মানুষকে কষ্ট করতে না হয় এ ব্যাপারে সরকারের পাশাপাশি সাধারন মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে।
আল্লাহ ভরসা।
১২/০৪/২০২০
মিলান, ইতালী।
তথ্যসূত্র – লা রিপাবলিকা, বি বি সি বাংলা, আল জাজিরা।